তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তবে ভোটগ্রহণের সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করি নভেম্বর মাসের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৫টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন সিইসি।
এর আগে এক সভায় জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম সারোয়ার জাহান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ, সকল থানার ওসি, আইন শৃংখলাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে র্যাব, বিজিবি কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভাটি রুদ্ধদ্বার হওয়ায় সাংবাদিকসহ কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। এ ছাড়া সকালে জেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথেও অনুরূপ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিইসি। সেখানেও সাংবাদিকসহ অন্য কারো প্রবেশাধিকার ছিল না।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্ত যেকোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে কোনো দলের সাথে কমিশন আলোচনা করবে না।
নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘সময় স্বল্পতার কারণে ইভিএম ভোটারদের কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়ন মেলায় ইভিএম প্রদর্শন করা হবে। এখানে ব্যবহার পদ্ধতি দেয়া যাবে। সে কারণে আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে অল্প কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। কারণ পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেলেও আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সেই পুরনো পদ্ধতিতেই রয়ে গেছে।’
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের বেশি সময় থাকা যাবে না। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতিক্রমে আগের মতো গোপনকক্ষে সাংবাদিকরা যেতে পারবেন না। নির্বাচনী বিধি মোতাবেক সবকিছু হবে।’