রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সময় আমাদের বন্ধু নয়। আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। আমাদের অভিযোজন ত্বরান্বিত করা উচিত।’
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক সিইও বলেন, উন্নয়ন যে ঘুরে দাঁড়ানোর সর্বোত্তম উপায় সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি এ দেশ প্রমাণ করেছে।
‘অভিযোজনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ,’ উল্লেখ করে জর্জিভা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় তিনি হাইস্কুলে পড়তেন এবং তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশে আসার স্বপ্ন দেখে আসছিলেন।
গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের কো-চেয়ার জর্জিভা ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, এ দেশের মাথাপিছু আয় ১০০ থেকে দেড় হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পথে সঠিকভাবেই আছে।
‘এটি জনসংখ্যার অধিক ঘনত্বের এক দেশ। তবে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের স্কুলে নেয়া ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনসংখ্যার বৃদ্ধি কমিয়ে আনতে পেরেছে,’ যোগ করেন তিনি।
জর্জিভা বলেন, নিজেদের সমস্যা থাকার পরও বাংলাদেশ বাকি বিশ্বকে যা দেখিয়েছে তাতে তিনি খুবই মুগ্ধ। দেশটি জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসাদের (রোহিঙ্গা) সহানুভূতি দেখাতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুব বিনম্রভাবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনি বিশ্বে অনুসরণীয় এক উদাহরণ।’
ঢাকায় সম্মেলন করার যুক্তি হিসেবে জর্জিভা বলেন, জলবায়ুর ঝুঁকি কী এবং বিভিন্ন কার্যক্রম এ ঝুঁকি থেকে কীভাবে মানুষকে রক্ষা করতে পারে তার কেন্দ্র এ দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি হেইনি, গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের বর্তমান সভাপতি ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।