আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে সিইসি এ হুশিয়ারি দেন। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিইসি নুরুল হুদা।
বৈঠকে তিনজন নির্বাচন কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধি, ইসির সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল হুদা নির্বাচনে বিরাজমান পরিবেশের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে কমিশন আন্তরিক।
‘সবাই ঢাকা সিটির ভোটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। মানুষের মধ্যে ভোটের মহা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এর যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আপনাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে,’ বলেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে সিইসি বলেন, ইসি কোনো অনিয়ম ও অবহেলা নিয়ে কোনো অভিযোগ শুনতে চায় না। ‘মাঠের যে কোনো ইস্যু ঠিক মতো নিষ্পত্তি করুন,’ তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
দুই সিটি নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে জাল ভোট দেয়া সম্ভব নয়।
‘আমাদের ইভিএম উচ্চমানের। এর মাধ্যমে কোনো জাল ভোট দেয়া যাবে না,’ বলেন সিইসি।
ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা এবং কমিশন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।
দুই সিটিতে ৫০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা ইসির রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটের দুই দিন আগে থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।