গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সুবর্নচর উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের ইসমাইলের ছেলে।
মামলার অপর আসামি মো. স্বপনকে (৩৫) মঙ্গলবার গভীর রাতে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সীমানায় রামগতি উপজেলার স্লুইচগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
এর আগে সোমবার মামলার আরেক আসামি একই গ্রামের আহাম্মদ উল্যার ছেলে বাদশা আলমকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ দিকে বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত নারীর সাক্ষ্য নিয়েছে।
এসময় ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়া হবে।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে মধ্যম বাগ্যা গ্রামের কয়েকজন চার সন্তানের মা এক নারীর বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও ছেলে-মেয়েদের বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করেন। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।