তিনি আরও বলেন, ‘কোন শ্রমিক আক্রান্ত হলে তাকে যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য শিল্প মালিকদের আলাদা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা রাখাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্যোগী হতে হবে।’
‘একই সাথে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের অধিক আক্রান্ত এই ৩টি জোনে সবধরনের যাতায়াত ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে,’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনায় শিল্প ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় পোশাক শিল্পখাত সংস্থার নেতারা করোনার এই দুঃসময়ে পোশাক শিল্প কারখানা খোলা রাখা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ও খোলা রাখার স্বপক্ষে নানাবিধ যুক্তি তুলে ধরলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পোশাক-খাত কারখানাগুলো খোলা রাখা যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই ঠিক রাখতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পখাত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাব। অন্যদিকে করোনার এই দুঃসময়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষারও উদ্যোগ নিতে হবে।
‘কাজেই একদিকে দেশের অর্থনীতির চাকাও সচল রাখতে হবে অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মানতে হবে,’ যোগ করে তিনি।
শিল্প কল-কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে পোশাক শিল্পখাতের প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি মিলে একটি যৌথ কমিটি করার নির্দেশনা দেবার পাশাপাশি শ্রমিকদের থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতে আলাদা ব্যবস্থা রাখা, শ্রমিকদের টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করাসহ এসময় আরও বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনায় কোন কারখানায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
সভায় অন্যানের মধ্যে বিকিএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতিঅধ্যাপক ইকবাল আরসেলান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন শিল্প সংস্থার নেতা এবং স্বাস্থ্যখাত ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।