তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা হওয়া খুব স্বাভাবিক। তাদের মধ্যে সম্পর্কের প্রতি যদি সহযোগী মনোভাব থাকে তবে দেশগুলোর সমৃদ্ধি অর্জন করা খুব সহজ হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ‘ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স এওয়ার্ডস-২০১৯’ পদক গ্রহণকালে এ কথা বলেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উপদেষ্টা টি পি শ্রীনিবাসন এ পদক হস্তান্তর করেন।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এপিজে আব্দুল কালামের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এ পদকটি চালু করা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অসামান্য অবদান, জনকল্যাণ বিশেষত নারী ও শিশুদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে এবং দেশগুলো একত্রে কাজ করতে পারে যাতে প্রতিবেশী দেশের জনগণ উপকৃত হতে পারে।
‘আমরা সর্বদা পদক্ষেপ গ্রহণ করি যাতে জনগণ উপকৃত হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে হাসিনা বলেন, ভারত বাংলাদেশের ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং এটিকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতি গঠনে সহায়তা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত স্থল সীমানা চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছে।
‘বাংলাদেশ ও ভারত উৎসবমুখর পরিবেশে দু'দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের জন্য বিশ্বে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে,’ বলেন তিনি।
তার সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ১৯০৯ মার্কিন ডলার হয়েছে।
‘গত এক দশকে, আমাদের জিডিপি বাৎসরিক ৬.৫ শতাংশেরও বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.১ শতাংশ হয়েছে,’ বলেন তিনি।
হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন যে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসেন।
‘আমি এটি শুনে সত্যিই গর্বিত যে আমার বাবা তার পুরো জীবন বাংলাদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন,’ বলেন হাসিনা।