বুধবার ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ নিন্দা জানান বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম শুধুমাত্র মানবিক সংকট বৃদ্ধি করে এবং দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর আলোচনার পথ বন্ধ করে দেয়। তিনি আল কুদস আল শরিফকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আল কুদস আল শরিফ বলতে মূলত ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস এলাকাকে বুঝিয়ে থাকে।
সৌদি আরবের জেদ্দায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল আসাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও যোগ দেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও রিয়াদ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ড. নজরুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন ছাড়াও সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইসরায়েলি দখলদারিত্ব দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে ওআইসির সদস্যদের উদ্বেগ জানাতে হবে।
ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সংবিধানে বাধ্যবাধকতা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির কারণে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সহায়তায় (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছেন।
‘বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক মুসলিম উম্মার স্বপ্ন দেখতেন যেখানে সব মুসলিম গৌরবের সাথে জীবনযাপন করবে এবং সব ধর্মের ও বর্ণের মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ওআইসিকে কার্যকর ও সমস্যা সমাধানে সক্ষম একটি সংগঠন হিসেবে দেখতে চান,’ যোগ করেন শাহরিয়ার আলম।
তিনি জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সভার শুরুতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ আল মালিকি আল কুদসে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
সভা শেষে ওআইসি মহাসচিবের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মহাসচিবের সহায়তা কামনা করেন।