বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ কামালের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার দৃঢ়তা, সাহস ও অনুপ্রেরণার কারণেই বঙ্গবন্ধুর অর্জন সহজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে বঙ্গমাতার কর্মকাণ্ড এতো সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে যা আমাদের সবার জানা উচিত।’
শেখ কামাল প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল তার মাত্র ২৬ বছরের জীবনে দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে গেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিউক্লিয়াস ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি যেভাবে একটি পরিবারকে গড়ে তুলেছেন তা সকলের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।’
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামালসহ ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
স্মরণসভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত সাহেদ রেজা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।