শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য এই সংলাপে বাংলাদেশ ও চীনের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা দু’দেশের সম্পর্ক, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সংলাপটি মূলত কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান- কসমস ফাউন্ডেশনের নিয়মিত সংলাপ আয়োজনের একটি অংশ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কসমস ফাউন্ডেশনের এই সংলাপ দু'দেশের সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ সনাক্ত করতে সহযোগিতা করবে।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো এবং স্বাগত ভাষণ দেবেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস) এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
সংলাপ নিয়ে অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ইউএনবিকে চীনের রাষ্ট্রদূত জুয়ো বলেন, ‘৪৩ বছর ধরে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সহযোগিতার দিক দিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয় এবং এভাবে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়।’
সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে থাকবেন- চীনের সিচুয়ান ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লি তাও, পিপলস ডেইলির ভারত ব্যুরোর সিনিয়র সাংবাদিক ইউয়ান জিরং, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
ঢাকায় অবস্থিত চীনের দূতাবাসের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূল্য ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেশি। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে দু’দেশের বাণিজ্য মূল্য বার্ষিক ১৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জুয়ো বলেন, ‘আমরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মানুষের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব রক্ষা করতে চাই। চীনের কূটনীতিতে আমরা বাংলাদেশকে উচ্চ পর্যায়ের অগ্রাধিকার দিতে প্রস্তুত। যাতে আমরা সহযোগিতার দিক দিয়ে বৃহৎ অংশীদার, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ভালো প্রতিবেশিতে পরিণত হতে পারি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পরিক সম্পর্ক এক প্রাচীন মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ, যা সময়ের সাথে সাথে গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দু'দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়।