শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মাওয়াগামী স্বাধীন এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বাসের সাথে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের এ সংঘর্ষ হয়।
মাইক্রোবাসযোগে লৌহজং উপজেলার কনকশা এলাকার রুবেল হোসেনের বরযাত্রী যাচ্ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জের কামরাঙ্গীরচর। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বরের বাবা আব্দুর রশীদ ব্যাপারী (৬০), বোন লিজা (২২) ও লিজার মেয়ে তাবাসসুম (৪), ভাবি রুনা আক্তার (২২) ও তার ছেলে তাহসিন (৩) এবং প্রতিবেশী কেরামত আলী (৭০), মফিজুল (৬০) ও মাইক্রোবাসের চালক বিল্লাল (২৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। রেনু আক্তার (২৪) নামে এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকা পড়া নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। এ সময় ৩০ মিনিট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এসব তথ্য দিয়ে শ্রীনগর থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, দুই গাড়ির চার যাত্রীকে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গাড়ি দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
তিনি বলেন, বেপরোয়া গতির স্বাধীন এক্সপ্রেসের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪৮১৯৪) বাসটি ওভারটেক করতে গেলে মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসের চালক ও তার সহকারী পলাতক আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্বাধীন এক্সপ্রেস পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটির বেপরোয়া গতির কারণে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো চ-১৫৫৫৬৬) দুমড়ে মুচড়ে যায়।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের প্রত্যেকের জন্য পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।