ওই সংগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের ওপর শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
একই সাথে রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ এই সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এ রায়ের ফলে বিআইডব্লিউটিএ’র কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্টের (সিবিএ) কার্যক্রম পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মণ্টু চন্দ্র ঘোষ। তিনি জানান, এছাড়া সংগঠনটির এ যাবতকালের সকল কার্যক্রম অবৈধ বিবেচিত হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রম অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায় বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, যার নম্বর বি-২১৭৬ এবং একই বছরের জুনে সিবিএর স্বীকৃতি পায় সংগঠনটি। তবে এই সংগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের মেডিকেল এ্যাটেন্ডেন্ট এবং বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (নিবন্ধন নং বি-১৪৪০) সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবর রহমান। রিট আবেদনে বলা হয়, শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থায় তিনটির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন পেতে পারে না। বিআইডব্লিউটিএ-তে এর আগে আরো চারটি ট্রেড ইউনিয়নকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে এবং এই তথ্য গোপন করে সর্বশেষ বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নকে বেআইনিভাবে নিবন্ধন দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর।