দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালকিনি উপজেলার দুশা গ্রামের লেনিন ব্যাপারী ও রেজাউল ব্যাপারী, কুকুরিল গ্রামের শাহাবুদ্দিন দর্জি এবং থানতলী গ্রামের ফয়সাল আহমেদ। তাদের মধ্যে রেজাউল পলাতক রয়েছেন।
আরেক আসামি মহিউদ্দিন দর্জি খালাস পেয়েছেন।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মনির কামাল দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
মাদারীপুরের সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন অহিদুজ্জামান। তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন হাঙ্গার প্রোজেক্ট এ পার্টটাইম চাকরি করতেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে অহিদুজ্জামান ইতালি যাওয়ার জন্য রেজাউলকে ১০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ইতালি যেতে ব্যর্থ হলে তিনি অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চান।
টাকা ফেরত দেয়ার পরিবর্তে মহিউদ্দিন এবং রেজাউল অহিদুজ্জামানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৬ মার্চ লেনিন, শাহাবুদ্দিন এবং সেলিম টাকা নেয়ার জন্য অহিদুজ্জামানকে সাভার যেতে বলেন।
অহিদুজ্জামান সাভার পৌঁছালে তাকে ভুট্টাখেতে নিয়ে অভিযুক্তরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী লেলিন, শাহাবুদ্দিন এবং সেলিম হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বিচার চলাকালে সেলিম মারা যান।
হত্যার ঘটনায় সিঙ্গাইর থানার এসআই সালাম হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর মদন মোহন ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।