দুপুরে জোহর নামাজের পর জেলা শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তার তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
কবির জানাযায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা প্রিয় কবিকে শেষবারের মত ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
জানাযা শেষে দক্ষিণ মৌড়াইলস্থ পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে আল মাহমুদকে দাফন করা হয়।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি আল মাহমুদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
কবির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। পরবর্তীতে বাদ জহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম মসজিদে দ্বিতীয় জানা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ মগবাজারের বাসায় নেয়া হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় কবি আল মাহমুদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মৌড়াইল গ্রামের পৈত্রিক নিবাসে পৌঁছায়।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং কবি জসিম উদ্দিন পুরস্কারে ভূষিত হন। তার অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে 'লোক লোকান্তর' এবং 'সোনালী কাবিন' কবিতা।