মঙ্গলবার দুপুর ১টায় দুই ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এবং জাতীয় ছাত্রদল তাদের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতে আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের "ডি" বিল্ডিং সংলগ্ন কদমতলা এবং অর্জুনতলা হতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি গোলচত্বর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীতে এবং অপরটি গোলচত্বর সংলগ্ন রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
জাতীয় ছাত্রদলের সমাবেশে শাবি শাখার সভাপতি রামকৃষ্ণ দাস, সহ-সভাপতি অমৃত রায়, সাধারণ সম্পাদক রুপেল চাকমা, অর্থ সম্পাদক ওসমান গণি, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির দেবনাথ বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় তারা ভর্তি ফি বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা কমানোর দাবি জানান।
অপরদিকে ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আযমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র, কমিটির সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, মইন উদ্দীন মিয়া প্রমুখ। এসময় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিকরণ না করে দ্রুত ভর্তি ফি কমানোর দাবি জানান।
ভর্তি ফি বৃদ্ধির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা আরও বলেন, প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
সমাবেশ শেষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা ভর্তি ফি কমানোর জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এদিকে ভর্তি ফি বৃদ্ধির বিষয়ে ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শামসুল হক প্রধান ইউএনবিকে বলেন, ওয়েবসাইটে ভর্তি বিষয়ে যে টাকার কথা উল্লেখ আছে তা পুরোপুরি ভর্তির সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। ভর্তির জন্য ওই পরিমাণ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। আগামী ৭ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং রয়েছে। সেখানেই ভর্তি ফি কত টাকা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ভর্তি ফি হিসেবে ৯ হাজার ৫০০ টাকা সঙ্গে আনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। গতবছর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি ফি ছিল ৬ হাজার ৮৫০ টাকা।