শুক্রবার টিম অলিকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
টিম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২১ জুন টিম অলিককে আমন্ত্রণপত্র পাঠায় নাসা। ১ জুলাই ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। ১১ জুলাই ভিসার জন্য ইন্টারভিউ দেয়া হলেও আমেরিকান দূতাবাস থেকে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয়। আইএনএর ২১৪ (বি) ধারায় ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিম আরও জানায়, ২১-২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টারে তাদের ইভেন্ট হওয়ার কথা। বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং দেয়া হয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় তাদের সকল খরচ বহন করছে।
টিম অলিকের পাঁচজনের সাথে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ ছয়জন কর্মকর্তা, বেসিসের পাঁচজনসহ ১৬ সদস্যের নাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র থাকা সত্ত্বেও টিম অলিকের মেম্বার, মেন্টর, বেসিসের মেম্বারসহ আটজনের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের লোকাল অর্গানাইজার (বেসিস) আইসিটি ডিভিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইউএস অ্যাম্বাসেডরের সাথে যোগাযোগ করেছে।
এ বিষয়ে টিম অলিকের মেন্টর শাবির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য গর্বের। কিন্তু নাসা থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও আমরা সেখানে যেতে পারছি না। ভিসা সংক্রান্ত এরকম জটিলতা সবসময় দেখা দিলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এইসব তরুণ প্রতিযোগীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগ্রহ অনেক কমে যাবে।
তিনি এসব বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের লোকদের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৯-২০ অক্টোবর স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে টানা ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখান থেকে শীর্ষ ৮টি প্রকল্পকে নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। আটটি মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রকল্প থেকে প্রথমবারের মতো দুটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের দুইটি টিম। যার একটি টিম অলিক এবং অন্যটি হচ্ছে টিম প্ল্যানেট কিট।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ছয়টি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দলের মধ্যে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা করে নাসা। সেখানে বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে শাবির এই টিম।
প্রতিযোগিতায় টিম অলিকের লুনার ভি আর প্রজেক্টটি ছিল মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন।