এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ৫ জানুয়ারি তজুমদ্দিন থানায় রাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সকালে ভোলা হাসপাতালে ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ২ জানুয়ারি তজুমদ্দিনের সম্ভুপুর ইউনিয়নে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই ছাত্রী। এশার নামাজের সময় স্থানীয় শফিউল্লাহর পুত্র খাসের হাট শাহে আলম কলেজের ছাত্র রাকিবসহ (২২) তিনজন মিলে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে সুপারি বাগানে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
দুই দিন পর ৪ জানুয়ারি বিকালে রাকিবের বাসা থেকে বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে ধর্ষকের পরিবার বাধা দেয়। পরে রাতে গোপনে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার ৫ দিন পর মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকিতে ভিকটিম পরিবারটি এখন আতংকে রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী জানান, তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, ওই রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ বা আদালত চাইলে ওই রিপোর্ট দেয়া হবে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মিকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, তারা আসামিকে গেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।