সচিবালয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ কিংবা অন্য কারও দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, তিনি স্থানীয় এমপি এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসির সাথে কথা বলেছেন এবং জানতে পেরেছেন যে সেখানে সংখ্যালঘু পরিবারের একটি ছেলের হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টের প্রতিবাদে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এক পর্যায়ে সমাবেশ থেকে প্রায় ৩০০ জন লোক ছুটে এসে যেখানে ওসি, অন্য পুলিশ অফিসার এবং ইউএনও আশ্রয় নেয় সেই ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, এসময় ইউএনও গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে তারা শুনতে পান।
তবে আসাদুজ্জামান বলেছেন যে কে গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছে তা তদন্তের পরে জানা যাবে।
এই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন যে তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এমন প্রকৃত অপরাধী খুঁজে পেতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন। ‘আমরা ফেসবুকের সিঙ্গাপুর অফিসে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়েছি এবং দু-তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানা যাবে,’ তিনি বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে এক যুবকের শাস্তির দাবিতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় রবিবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিপ্লব চন্দ্র শুভ (২৫) নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে আল্লাহ ও মহানবীকে কটূক্তি করে বিভিন্নজনের কাছে পাঠানো মেসেজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রাপাত হয়।