বিলের ধারা অনুযায়ী, একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। যারা অনলাইনে থাকা সম্প্রচার মাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেবে এবং এগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) বিল ২০১৮’ অনুমোদন করেছে। বিলের একটি ধারা অনুযায়ী, ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মীদের জন্য ওয়েজ বোর্ড প্রযোজ্য হবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সম্প্রচার বিল অনুযায়ী, সাত সদস্য বিশিষ্ট সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নামের তালিকা জমা দেবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি কমিশনের একজন চেয়ারম্যান ও কমপক্ষে একজন নারী সদস্যসহ অন্যদের নিয়োগ দেবেন।
সম্প্রচার মাধ্যমকে লাইসেন্স দেয়া এবং বাতিল করার এখতিয়ার থাকবে সম্প্রচার কমিশনের। তবে কোনো লাইসেন্স দেয়ার আগে তাদের সরকার থেকে অনুমতি দিতে হবে।
বিল অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করা হলে তা পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মীমাংসা করতে হবে। কমিশন সাতটি কারণে কোনো সম্প্রচার মাধ্যমের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার অধিকার রাখবে।
গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) বিল প্রসঙ্গে শফিউল আলম জানান, গণমাধ্যম কর্মীদের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪৮ এর পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টা হবে। নৈমিত্তিক ছুটি ১০ দিনের জায়গায় বেড়ে হবে ১৫ দিন এবং বার্ষিক অর্জিত ছুটি ৬০ দিনের পরিবর্তে হবে ১০০ দিন।
এছাড়া, এক বছরে উৎসবের ছুটি হবে ১০ দিন। চিত্তবিনোদন ছুটি হবে প্রতি তিন বছরে এক মাস। আর মাতৃত্বকালীন ছুটি আট সপ্তাহ থেকে বেড়ে হবে ছয় মাস।
যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এসব ধারা লঙ্ঘন করে তাহলে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।