পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সকল এসপিকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক মাসের মধ্যে তদন্তে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে তদন্ত শেষ না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
নরওয়ে প্রবাসী ড. নুরুল ইসলাম শেখকে মাদক মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমকে ওই থানা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এসআইকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করেছেন আদালত।
আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী। আর এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
জামিন শুনানিকালে আদালত দেখতে পান, নুরুল ইসলাম একজন নরওয়ে প্রবাসী এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী। দশ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করায় আদালত বিষয়টি তদন্ত করে গাজীপুরের এসপিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই গত ১০ ডিসেম্বর এ মামলার চার্জশিট থেকে নুরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরবর্তীতে গাজীপুরের এসপির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে মামলাটির বাদী জয়দেবপুর থানার এস আই মো. আব্দুল হালিকে তলব করেন হাইকোর্ট। ওই এসআই উদ্দেশ্যমূলকভাবে নরওয়ে প্রবাসীকে ইয়াবার মামলায় যুক্ত করেছেন বলে আদালত মন্তব্য করেন।
এছাড়া আদালতের হস্তক্ষেপ দেখে ১৫ দিনের মধ্যেই এ মামলার চার্জশিট দাখিল করায় আদালত পুলিশের প্রশংসাও করেন। একই সঙ্গে অন্যান্য মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্তও দ্রুত শেষ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।