ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার পর পুলিশ সিংগাইর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২১), একই গ্রামের রবিউল দেওয়ানের ছেলে সুজন মিয়া (২৮), দ্বীন ইসলামের ছেলে ফজর আলী (১৮), আব্দুল মান্নান খানের ছেলে শিপন খান (১৮) এবং মো. চুন্নু খানের ছেলে দিপুকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে একই জেলার পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর উপজেলার আকাশ নামের এক কলেজ ছাত্রের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। প্রেমের সর্ম্পকের সূত্রে শুক্রবার রাতে সিংগাইর উপজেলার ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে দেখা করতে যায় আকাশ। এসময় স্থানীয় সাতজন বখাটে যুবক আকাশকে আটকে রাখে। পরে আকাশের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই কলেজ ছাত্রীকে আসতে বলে এবং তাদেরকে একত্রিত করে বেশ কয়েকটি আপত্তি ছবি তোলে। এরপরে প্রেমিক আকাশকে বেঁধে রেখে বখাটেরা প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর আকাশ নামের ওই প্রেমিক শনিবার ভোরে মোবাইলের মাধ্যমে তার ভাইকে বিস্তারিত জানান এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। পরে শনিবার সকালে বিষয়টি সিংগাইর থানাকে অবগত করা হলে পুলিশ উপজেলার ইসলামপুর থেকে তাদের উদ্ধার করে।
এবিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং মামলায় উল্লেখ্য করা ৭জনের মধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।