মঙ্গলবার দুপুরে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন, সাজাপ্রাপ্ত দু’জন ও খালাসপ্রাপ্ত একজনের উপস্থিতিতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক এ রায় দেন। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিক এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রুবেল, সজীব ও আকিবুল।
মামলায় শরীফুলকে খালাস দেয়া হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুলতান ও সজীব পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাইরের ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে ডেকে বাস্তা গ্রামের সুলতানের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ ওই দিন বিকালে সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জহিরুলের মোবাইলের দুটি সিমকার্ড, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
এর দু’দিন পর দুপুরে সুলতানের বাড়ি সংলগ্ন প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জহিরুলের মাথা ও হাত-পা বিচ্ছিন্ন পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শেখ খোকন মিয়া আট জনের নাম উল্লেখ করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।