শুক্রবার শেরপুরের নকলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব চিকিৎসার ব্যয়ভার ইতিমধ্যে সরকার গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি পাক হানাদারদের বর্বরচিত ঘটনাবলীর বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার বিভিন্ন পাঁয়তারা করেছেন। এর অংশ হিসেবে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন। এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। কিন্তু এখন মুক্তিযুদ্ধবান্ধব সরকার ক্ষমতায় আছে। মুক্তিযোদ্ধারা এখন নিজেদের পরিচয় দিতে গৌরববোধ করেন।
বিকালে দুই মন্ত্রী নালিতাবাড়ীতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। পরে তারা নালিতাবাড়ী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে জেলা পুলিশের আয়োজনে সোগাহপুর বিধবাপল্লীর শহীদ পরিবারের ২৯ বিধবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেই সাথে তারা জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।