পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করে এবং এগুলো সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন শাজাহান কবীর চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার হাসপাতালে মোট ৬৭ জন আহত ব্যক্তিকে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে পৌঁছালে বড়ছড়া খালের সেতু ভেঙে একটি বগি নিচে পড়ে যায়। সেই সাথে আরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এর আগে রাত ১০টায় সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ট্রেনের যাত্রী গোলাপগঞ্জের খাইরুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমাদের বগির মধ্যে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অনেকে হাত-পাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন।’
এদিকে, ভোরেই সাতটি সচল বগি নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বলে কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, দুর্ঘটনায় দুটি বগি সেতু ভেঙে খালের পানিতে উল্টে পড়ে যায়। এছাড়া আরও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মোট পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
যাত্রীরা জানান, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।
গত ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সেতু ভেঙে পড়ায় সিলেটের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগও সাত দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে।