প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ বলে আমি মনে করি।’
সদ্য সমাপ্ত পাঁচ দিনের চীন সফর শেষে সোমবার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিজের ৫৪ হাজার মাইল বা এক লাখ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এলাকা নিয়েই খুশি তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অন্য দেশের সীমানা আমাদের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। প্রত্যেকটি দেশেরই নিজের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খুশি থাকা উচিত, মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও তাই।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, তারা অনেক বড় দেশ হতে পারে, তিনি সেই বড় দেশের কংগ্রেসম্যান। কিন্তু তারা তাদের ইতিহাস ভুলে গেছে? যেখানে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। তাদের অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তারা কিভাবে বলতে পারে যে ভবিষ্যতে আবার অতীত ফিরে আসবে না?
রাখাইন প্রদেশে প্রতিদিন অনেক ঘটনা ঘটছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব জানার পরও বাংলাদেশ কেন সেই সমস্যাজর্জরিত এলাকার সাথে যুক্ত হতে যাবে?
‘আমরা এটা কখনোই করবো না। মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশি এবং আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু অর্থ এটা নয় যে, আমরা তাদের রাষ্ট্রের একটা অংশ নিয়ে চলে আসবো।’
বাংলাদেশের তেমন মানসিকতা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকটা দেশ তাদের নিজস্ব সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে… আমি তাই চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানের উচিত ছিল মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া। ‘এটাই কংগ্রেসম্যানের করা উচিত ছিল। তাহলে মানবিক ব্যাপার হত। কিন্তু কোনো দেশের অভ্যন্তরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অধিকার নেই।’