ওই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনের যাত্রা উদ্বোধন করবেন।
এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য রেল মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পাঠানো একটি চিঠি হাতে পেয়েছি।’
পহেলা বৈশাখের দিনে ট্রেনটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন ট্রেনের যন্ত্রাংশসহ সব ধরনের টেকনিক্যাল কাজ শেষ করতে কিছুটা সময় লাগায় যাত্রা শুরু করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
খোন্দকার শহিদুল ইসলাম আরও জানান, বনলতা এক্সপ্রেসে অত্যাধুনিক ১২টি বগি সংযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৭টি, এসি চেয়ার কোচ ২টি, একটি পাওয়ার কার, দুটি গার্ডব্রেক এবং একটি খাবার গ্রহণের জন্য বগি।
বিরতিহীন ট্রেনটির আসন সংখ্যা থাকবে ৯২৮টি। শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৭৫ টাকা। আর স্নিগ্ধার (এসি চেয়ার) ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৭১৯ টাকা। এছাড়া ৮৬৩ টাকায় পাওয়া যাবে এসি কেবিন, ১ হাজার ২৮৮ টাকায় মিলবে এসি বার্থ। শুক্রবার বাদে ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন চলবে।
সিগন্যাল পাসিং দ্রুত শেষ হলে ঢাকা-রাজশাহী বিরতিহীন ট্রেনটির ভ্রমণ সময় হবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা, ধুমকেতু ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস নামে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে।
আসা-যাওয়ার পথে ট্রেন তিনটি ১০ থেকে ১৪টি স্টেশনের যাত্রাবিরতি করে। ফলে ঢাকা-রাজশাহী যাতায়াতে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।