বুধবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
এছাড়া, মামলায় জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবনের জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। একই দিনে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার রিফাত হত্যা মামলার ধার্য তারিখে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজির হন জামিনে থাকে আসামি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দকা মিন্নিও। পরে আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্রটি বিচারের জন্য প্রস্তত করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
এছাড়াও আদালত এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি কামরুল হাসান সাইমুনকে অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১ আগস্ট এ মামলার তদন্ত শেষে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ২৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।