তিনি বলেন, ‘১৯৭৩-৭৪ সালে মানুষ রেলেই বেশি যাতায়াত করত। কিন্তু পরে রেলকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। এত দিনে ডাবল লাইন নির্মাণ করা হলে সড়কের ওপর এত চাপ পড়ত না। ১৯৮৬ সালে রেলে নিয়োগ বন্ধ হয়। বিএনপি-জামায়াত সরকার ১০ হাজার রেলকর্মীকে ছাঁটাই করে রেল ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করে সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর প্রতি যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।’
শনিবার পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীসহ সব মানুষকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে হবে।
‘রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলো ডাবল লাইন করছি, যাতে রেলপথেই ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহন করতে পারেন। এতে সড়কের ওপর যেমন চাপ কমবে তেমনি ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। এছাড়া সড়কে যানজট হবে না এবং দুই শ পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল একবারেই রেলের মাধ্যমে বহন করা যাবে।’
মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের শুধু মুনাফার কথা বিবেচনা না করে জনহিতকর কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি রেলের টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।