শুক্রবার সিলেটে জাতীয় শোক দিবসের এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন এনজিও ইন্ধন দিচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা রোহিঙ্গাদের এসব কাজে সহযোগিতা করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
মন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। কিন্তু তারা কীভাবে এতগুলো সেলফোন ব্যবহার করছে। যার মাধ্যমে গত কয়েকদিন আগে বিশাল শোডাউন করল?’
রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের সমস্যা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে কারও লাভ হবে না, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ‘তাই এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সোচ্চার ভূমিকা আশা করছি।’
রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে বলে মিয়ানমার নিশ্চিত করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) কেউ অত্যাচার করবে না। কিন্তু তারা (মিয়ানমার) এ কথা রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘আমরা তাদের (মিয়ানমার) বলেছি, আরাকানের পরিবেশের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য রোহিঙ্গা নেতাদের কয়েকজনকে সেখানে নিয়ে যাও যাতে তারা পুনরায় এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বোঝাতে সক্ষম হয়। কিন্তু তারা সেটা করেনি,’ বলেন তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিটি কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা বাসিত, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মারিয়াম চৌধুরী মাম্মী, সামসুননেহার মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসর আহমদসহ জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।