শুক্রবার ব্যাংককে এআরএফের ২৬তম সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ সহযোগিতা চান।
তিনি উল্লেখ করেন, যদি রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘ দিন ধরে অমীমাংসিত থাকে তাহলে এটি হয়তো পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ‘গুরুতরভাবে দুর্বল’ করে দেবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা মুসলিম আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করলেও এখন পর্যন্ত একজনও ফিরে যেতে পারেননি।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি পরামর্শ করার বহুপক্ষীয় ফোরাম এআরএফ। আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে থাইল্যান্ড সরকার এ বছরের এআরএফ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ২৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রাখাইন রাজ্যের উত্তরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আসিয়ানের ব্যাপক সম্পৃক্ততা কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ বোঝা অনির্দিষ্টকালের জন্য বহন করার অবস্থায় নেই। এ সমস্যার সমাধান বৈশ্বিক দায়িত্ব হওয়া উচিত।
সম্মেলনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সেই সাথে তারা এ প্রক্রিয়ায় আসিয়ানের সম্পৃক্ততা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন কানাডা, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।