‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট’-এর আওতায় এ অনুদানে রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে ও আশপাশে ৫৩টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ২০০ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা তৈরি, দুই লাখ মানুষকে পানি ও স্যানিটেশন সেবা সরবরাহ এবং দেড় হাজার সড়কবাতি বসানো হবে।
সেই সাথে এ প্রকল্প জরুরি সাড়াদান সেবা জোরদার, সামাজিক সেবা সরবরাহ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধ করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেনডেন চ্যান নিজ নিজ পক্ষে রাজধানীর ইআরডি কার্যালয়ে চুক্তিতে সই করেন বলে বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ডেনডেন চ্যান বলেন, বাংলাদেশ উদারভাবে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু রোহিঙ্গা ও স্থায়ী বাসিন্দাদের চাহিদা বিপুল।
বিশ্বব্যাংক ২০১৮ সালের জুনে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়নের যে ঘোষণা দিয়েছিল তার তৃতীয় ধাপে এ সাড়ে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হচ্ছে।
এর আগে বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার চাহিদা পূরণে কানাডা থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারসহ মোট সাড়ে ৭ কোটি মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।