জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের (কিশোরগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমরা তাদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে না পারি তাহলে আশঙ্কা রয়েছে যে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে।’
‘মিয়ানমারের ১১ লাখের অধিক নাগরিকের জন্য অনির্দিষ্টকাল ধরে খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আমাদের জন্য খুব কঠিন ব্যাপার,’ যোগ করেন তিনি।
তাই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সংকটের শুরু থেকেই একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দ্বারা মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এসব বাস্তুচ্যুত মানুষ স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্টিতে ভুগছেন।
যে কোনো প্রত্যাবাসন খুব জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।
দুঃখজনকভাবে, এটা সত্য যে মিয়ানমার সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে পরিস্থিতির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি, বলেন তিনি।
সেই সাথে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশের অসহযোগিতার জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে, যোগ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বারবার বিভিন্ন ফোরামে বলেছে যে নিজেদের সব বাস্তুচ্যুত মানুষকে ফিরিয়ে নেয়ার দায় মিয়ানমারের এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মোট তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই করেছে। এ তিন চুক্তির একটি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দুই বছরে মধ্যে সম্পন্ন হবে।
‘কিন্তু মিয়ানমার সরকার নানা তালবাহানা সৃষ্টির মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করেছে,’ বলেন তিনি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০১৬-২০) কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রার আলোকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।