প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন বলে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন যদি স্বল্প পরিমাণেও শুরু হয় তাহলে সেটি সবার জন্য ভালো হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় তার মেয়াদ সফলতার সাথে সম্পন্ন করায় অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘কার্যক্রমের বিভিন্ন ক্ষেত্র আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে গতি দিয়েছে।’
সম্প্রতি নিজের চীন সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ছিল খুব ভালো এবং সফল। ‘প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ চীনা নেতাদের সাথে আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ।’
চীনা রাষ্ট্রদূত তার বাংলাদেশে অবস্থানকালে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঝ্যাং জুয়ো আশা প্রকাশ করেন যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে সত্যে পরিণত হবে।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে জানান যে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে অনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।