সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় দ্বি-পাক্ষিক এক বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এমন আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুটির টেকসই সমাধানে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই সংকটের সমাধানে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট বেশকিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এ বৈঠকে।
মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের মহাসচিবের অংশগ্রহণ, উপস্থিতি ও সম্পৃক্ততার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসকল বিষয়ে জাতিসংঘে যে অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করবে তাতে অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব ছাড়াও নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পালাও প্রজাতন্ত্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ এবং সবশেষে নিউইয়র্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।