তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। এ জন্য আমরা চেয়েছিলাম একটি ভালো বিরোধী দল হবে। কিন্তু একটি দল মনোনয়ন বাণিজ্য করলে তেমন বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।’
রবিবারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনসহ (এফবিসিসিআই) বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণিপেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে বিরোধীদের আচরণ ছিল অদ্ভুত। ‘তারা যেভাবে মনোনয়ন দিয়েছে তা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো ছিল না। তারা মনোনয়ন দেয়ার নামে শুধু ব্যবসা করেছে।’
এবিষয়ে তিনি জানান, এক ব্যক্তি তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ মিশনে আসেন। কিন্তু মিশনের কর্মকর্তারা তাকে জানান যে এটি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তখন ওই ব্যক্তি রেগে যান।
‘ওই ব্যক্তি বলেন যে তিনি লন্ডনে অনেক টাকা দিয়েছেন এবং তারা তাকে জানিয়েছে যে তিনি দুবাইয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি অধিকাংশ আসনে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
তিনি জানান, দেশবাসীর মাঝে তিনি ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আকাঙ্ক্ষা দেখেছেন।
সরকারের আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ ঘর, শিক্ষা, খাদ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা সেবা পাবে। ‘তাদের জীবন হবে সুন্দর ও উন্নত। এটাই আমার আগামী দিনের চাওয়া।
তার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখায় দেশের গণমানুষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান সবার সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে তিনি আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পারেন।