এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, সতীন নার্গিস আক্তার, শ্বশুর মনসুর আলী ও ননদ ফরিদা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ গ্রাম থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম জানান, কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পরও একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রী নার্গিসসহ তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়।
ওসি আরও জানান, গত ৩-৪ মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ফাতেমার সাথে জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয় এবং ফাতেমা তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গত ৩-৪ দিন আগে জাহাঙ্গীর আবারও ফাতেমাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ফাতেমাকে বাড়িতে আনার পর তার ওপর শুরু হয় জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রী, শ্বশুর ও ননদের অত্যাচার নির্যাতন। ফাতেমাকে বাড়ি ছাড়া করতে লোহার শিকলে বেঁধে রেখে অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তারা। শিকলে বেঁধে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলমাকান্দা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।