বাল্যবিবাহের কারণে যে সন্তান জন্ম নেয় তা খর্বাকৃতি, হাবাগোবা, অটিস্টিক, কম ওজন, প্রতিবন্ধী এমনকি পুষ্টিহীন হয়ে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ‘নবযাত্রা’ প্রকল্প আয়োজিত ‘১৮ এর আগে বিয়ে নয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসম্মত জাতি গঠনে বাল্যবিবাহ রোধ জরুরি মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে কোনো বিয়ে হয় না, সরকার সেটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও অনেক ক্ষেত্রে তা বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এড়িয়ে গোপনে বর কনেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে বিয়ে দিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। বিয়ে বন্ধ না করা গেলে বাল্যবিবাহ পরবর্তী বর কনের ওপর ১৮ এর আগে সন্তান ধারণ নয় এমন বিধিনিষেধ জারির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় বৈঠকে।
স্কুল থেকে ঝরে পড়ার তালিকা সংগ্রহ করে সমাজকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে সব স্কুল প্রধানকে শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহের বিষয়ে জবাবদিহিতার মধ্যে আনার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘নবযাত্রা’র আশীষ কুমার হালদার।