তিনি বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ করেছি। যেগুলো বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার করতে পারবেন। দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যা ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা- বাণিজ্যের সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার দুপুরে শের-ই-বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে নিজ কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি। এসময় বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চারিত হওয়ায় সৌদি রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং এ বছর ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।’
এ সময় বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিনত করেছে। দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এই শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে।