দণ্ডপ্রাপ্ত ওবায়দুল (২৯) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।
আদালতে হাজির থাকা রিশার পরিবারের সদস্যরা রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঘটনার ৫-৬ মাস আগে রিশা ও তার মা ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটের বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তারা দোকানের রসিদের গ্রাহক কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল ওই ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রিশা স্কুলের পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল তাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেন। এ সময় রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট সে মারা যায়।
রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন। পরে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। পরে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল আদালত ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।