শুক্রবার রাত ৩টার দিকে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ বাঁধাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে অন্যের সাথে প্রেমের অভিযোগ এনেছেন।
ঘটনার শিকার রুমান মৃধাকে (২৮) উদ্ধার করে প্রথমে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক নববধূ কুমকুম আক্তার শিমু (২৪) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। আট মাস আগে রুমানের সাথে শিমুর বিয়ে হয়।
রুমানের মা রেনু বেগম জানান, রাতে ছেলের ঘর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখেন বিছানায় রক্ত মাখা এবং রুমানকে লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এ সময় তিনি চিকিৎকার দিলে পুত্রবধূ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
রেনু বেগমের অভিযোগ, ছেলে বাড়িতে না থাকলে পুত্রবধূ গোপনে মোবাইলে ফোনে কথা বলে। তাদের ধারণা শিমুর অন্য কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে। এ কারণে তার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।
অন্যদিকে শিমু আটক হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামীর অন্য নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ভালবেসে রুমানকে বিয়ে করেও সে শান্তিতে ছিল না। বাধ্য হয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার সরকার জানান, শিমু তার স্বামীকে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পালানোর সময় তাকে আটক করা হয় এবং এখন থানায় রেখে sজিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।