পরে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা মেরামত কাজ করে লাইন ট্রেন চলার উপযোগী করা হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টি ও রাত হয়ে যাওয়ার কারণে পুরোপুরি লাইন মেরামত করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু হবে। এর আগ পর্যন্ত ওই এলাকায় সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী জানান, বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়া রাজশাহীগামী ট্রেনগুলো রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে, ঢাকার উদ্দেশে পদ্মা এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১১টায় এবং ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাত ২টায় রাজশাহী ত্যাগ করে। এ দুই ট্রেনের মধ্যে পদ্মার বিকাল ৪টায় এবং ধূমকেতুর রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজশাহী ছাড়ার কথা ছিল।
বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটে ১০টি আন্তনগরসহ সব লোকাল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে তার যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা প্রায় সাত হাজার যাত্রীকে ২৬ লাখ টাকারও বেশি ফেরত দিয়েছেন।