ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা ২-৩ দিন আগে থেকেই আন্দোলন করছেন। তবে আগামীকাল (বুধবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে সব ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান এবং কাভার্ডভ্যানে করে কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল পরিবহনে কর্মবিরতি থাকবে।’
তার দাবি, সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতের পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের সাথে সামঞ্জস্য করে জরিমানার বিধান ও দণ্ড রেখে একটি যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
‘ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা পুরো আইন প্রত্যাখ্যান করছেন না। কিছু ধারার সংশোধন চাচ্ছেন। আইনে সব ধারা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় আপত্তি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার আশ্বস্ত করলেও পরে সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণেই আমাদের কর্মসূচি,’ যোগ করেন।
এদিকে, সোমবার থেকে দেশের কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ইউএনবিকে বলেন, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই, বাস চলবে। ‘বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জেলায় বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তাদের সাথে কথা বলছি যাতে বাস চালু রাখেন।’