শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান এক অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গ্রামীণফোন মোট ১০০ কোটি টাকার সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।’
তিনি জানান, গ্রামীণফোন ১০০ কোটি টাকা মূল্যে এক কোটি গ্রাহকের জন্য ১০ কোটি ফ্রি মিনিট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্টিফাইড ২৫ হাজার করোনা চিকিৎসকের জন্য ১ টাকার বিনিময়ে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট, সব গ্রামীণফোন গ্রাহকের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৪৮ পয়সা কল রেট, মাইজিপি থেকে সাপ্তাহিক সব ইন্টারনেট প্যাকে ১০০ শতাংশ বোনাস ও ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ১০ কোটা টাকার নিরাপত্তামূলক ক্রেডিট স্কিম ঘোষণা করেছে।
সংস্থাটি জানায়, গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ উন্নয়ন মূল্যায়ন করছে এবং প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অবদানের সাথে সাড়া দিচ্ছে।
আজমান বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের আগে কখনও এমন সংকটপূর্ণ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি। এমন একটি সংকট আসবে এবং সেটি এভাবে আমাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে- সেটা কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তাই এখন সময় সবাই এক সাথে এর মোকাবিলা করা।’
তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তায় অনুকরণীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ব্র্যাক, বিটিআরসি, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং শিল্পখাতের অন্য অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জুম প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে ১ লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকার খাদ্য সহায়তা দিয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত হাসপাতালে ৫০ হাজার প্রফেশনাল পিপিই দিয়েছে গ্রামীণফোন।