শনিবার ছয়টি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দলের মধ্যে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা করেছে নাসা।
সেখানে বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে শাবির এই টিম অলিক।
প্রতিযোগিতায় টিম অলিকের লুনার ভি আর প্রজেক্টটি ছিল মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন।
টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে। আপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ১৯-২০ অক্টোবর এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে টানা ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে শীর্ষ ৮টি প্রকল্পকে নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।
আটটি মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রকল্প থেকে প্রথমবারের মতো দুটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের দুইটি টিম। যার একটি টিম অলিক এবং অন্যটি হচ্ছে টিম প্ল্যানেট কিট।
এ বিষয়ে টিম "অলিক" সদস্য কাজী মঈনুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের কাছে এভাবে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা বেশ গর্বিত। বর্তমানে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ টিমের পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এই বিষয়ে টিম অলিক এর কোচ শাবির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই অর্জন শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, পুরো বাংলাদেশের।
তিনি আরও বলেন, একদিকে আনন্দের খবর হলেও উদ্বিগ্নের বিষয় হচ্ছে নাসাতে পৌঁছানোর যোগ্যতা রাখলেও, আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে পরিবহন খরচ। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, বিভিন্ন নামী-দামি প্রতিষ্ঠানের উচিৎ এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।