চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামনে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ চীন-রাশিয়া প্রকৌশল ফোরামে অংশ নিয়ে কাস্টের গবেষক ওয়াং লি বলেন, এ মহাশূন্য-ভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সূর্যের সেই শক্তিকে আহরণ করবে যা কখনো পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় না।
পরে মানুষের ব্যবহারের জন্য সেই শক্তিকে মাইক্রোওয়েভ বা লেজারে পরিণত করে পৃথিবীতে তারহীনভাবে পাঠানো হবে।
‘মানবজাতি যাতে আগেভাগেই অসীম পরিচ্ছন্ন শক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে সে জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জনে আশা রাখছি,’ বলেন ওয়াং।
তিনি জানান, মহাশূন্য-ভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্যাটেলাইট ও পৃথিবীতে দুর্যোগ আক্রান্ত বা দুর্গম বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের এক নির্ভরযোগ্য সমাধান হবে।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক আইজ্যাক আসিমভ ১৯৪১ সালে এক লেখায় মহাশূন্যে সৌরশক্তি আহরণের ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে তুলেন। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার পিটার গ্লাসের এ বিষয়ে এক বিধিসম্মত প্রস্তাব তুলে ধরেন।