সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, দুই অপারেটরের ব্যান্ডউইথ কমানোর যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল তা জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশে প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।
বুধবার বিটিআরসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
পাওনা আদায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাদের এনওসি বন্ধ করা যায়। প্রশাসক নিয়োগের বিধানও রয়েছে। অতিসত্বর এনওসি বন্ধ করে দেবো।’
এ পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিআরসি মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম) একেএম শহীদুজ্জামান বলেন, এনওসি বন্ধ হলে কোম্পানিগুলো টেলিকম সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আমদানি এবং বিটিএস (বেস ট্রানসিভার স্টেশন) স্থাপন ও মেরামত করতে পারবে না। সেই সাথে তারা আর নতুন কোনো প্যাকেজের অনুমতি পাবে না।
গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আপত্তির বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ নিরীক্ষা করা হয়েছে। পাওনা আদায়ে তাদের একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে।
তবে, পাওনা টাকা না দেয়ায় গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।
এ বিষয়ে জহুরুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে গতকাল (মঙ্গলবার) বৈঠক হয়েছে। তিনি এটি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। ব্যান্ডইউথ বন্ধ হলে সাধারণ লোকের সমস্যা হয়।’
ব্যান্ডউইথ সীমিত করার সিদ্ধান্ত বুধবার রাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না। এর চেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগে যাচ্ছি আমরা।’
দুই অপারেটর সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দিলেও তা সম্ভব নয় জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী টাকা তোলার চেষ্টা করা হবে। আমাদের আইনে সালিশের বিধান নেই।’
নিরীক্ষা আপত্তি অনুযায়ী, বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।