সোমবার দুপুরে তিনি টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, জোলি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হোটেল রয়েল টিউলিপ থেকে রওনা দেন এবং ২টার দিকে চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছান।
এ সময় তিনি শিবিরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে শিবিরে যাওয়ার আগে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
কর্মকর্তারা জানান, জোলি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলবেন।
শিবির পরিদর্শন শেষে দুপুরের পরে তিনি কুতুপালং শিবিরের ডি ব্লকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে পারেন বলে জানান আবুল কালাম।
কক্সবাজার থেকে ফেরার পর ঢাকা ত্যাগ করার আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন এ বিশেষ দূত।
ইউএনএইচসিআরের সাথে কাজ করা জোলি ২০১২ সালের এপ্রিলে সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে যোগ দেন।
নিজের ভূমিকার মাধ্যমে জোলি বিশ্বের বিভিন্ন সংকট এবং ব্যাপকভাবে মানুষের স্থানচ্যুত বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ব্যাপারে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া এ হলিউড অভিনেত্রী বৈশ্বিক শরণার্থী বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হওয়ার আগে সংস্থাটিতে ২০০১ সাল থেকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন।
বিরামহীনভাবে কাজ করে যাওয়া জোলি প্রায় ৬০টির মতো মাঠ পর্যায়ের মিশন পরিদর্শন করেছেন এবং বস্তুচ্যুত বা শরণার্থীদের জন্য নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাবকের স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।