গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় বিজয়ের মাসে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ স্লোগানে বিজয় মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উৎসবের তৃতীয় দিনের শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চারনেতা এবং স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র পুতুল পুরাণ প্রদর্শিত হয়।
এরপর সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ড. কাজী আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট নাট্যজন ও আইটিআই বিশ্ব কেন্দ্রের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী আব্দুল মান্নান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
পরে উৎসবের মূল আর্কষণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই..’ এবং ‘আইজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন ধৃতি। ‘ও আমার বাংলা মা তোর..’ এবং ‘জলে গিয়েছিলাম সই..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমি। ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে..’ এবং ‘আজি বাহাল করিয়া..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন নান্দনিক। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাইফুল ইসলাম, কিরণ চন্দ্র রায়, আবিদা সুলতানা সেতু, শরীফ সাধ এবং অপু।
ঋত্বিক ঘটকের রচনায় এবং অভিজিকৎ সেন গুপ্ত পরিচালিত নাটকের অংশবিশেষ পরিবেশন করে দৃষ্টিপাত নাট্যদল। লিয়াকত আলী লাকী’র গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটক পরিবেশন করে লোক নাট্যদল (সিদ্বেশ্বরী)। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য গম্ভীরা পরিবেশিত হয়।