টান টান উত্তেজনা। আলো আধারি দৃশ্যে প্রথমেই জোড়া খুন। দেখিয়ে দেয়া হল খুনিকে। দেহ আগুনে নয়, পোড়ানো হল খুব সম্ভবত সালফার ডাই অক্সাইড। এতে খুনিও আহত হয়। এখান থেকেই শুরু সিনেমা। এরপর টাইম লিপ। এন্ট্রি জটিল যাদব ওরফে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর।
বিয়ের ফুল শয্যার রাতে বর খুন। তিনি ছিলেন প্রভাবশালী মন্ত্রী। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী (রাধিকা আপতে) ফুল শয্যার রাতেই বিধবা হন। তদন্ত, জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন জটিল যাদব। বড় হাভেলি, ক্ষমতা দখলের লড়াই, মন্ত্রীরাজ, কম বয়সী স্ত্রী..রহস্যে মোড়া টানটান উৎকণ্ঠা নিয়ে এগোতে থাকে গল্প।
প্রথম থেকেই রাধিকা আপ্তের মধ্যে একটা রাগী মেজাজের প্রকাশ দেখা যায়। যা রহস্যকে আরও তরান্বিত করতে থাকে।
জানা যায়, বিয়ের আগেই থেকেই তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মন্ত্রীর। চলত শারীরিক নির্যাতন। তাহলে দোষী কি রাধিকা আপ্তে? কিন্তু রাধিকার স্পষ্ট জবাব গল্পের মোড় ঘোরাতে থাকে।
মৃতের ভাইপোর সাথেও সম্পর্ক ছিল তার। যিনি পরিবারের সম্পত্তি, ব্যবসা সামলাতেন। তাহলে খুনি কে?
পাঁচ বছর আগের জোড়া খুনের সাথে যোগসূত্র খুঁজতে থাকেন জটিল যাদব। এর মধ্যে চলে আসে রাজনৈতিক চাপ। একের পর এক রাঘব বোয়ালদের সাথে লড়তে থাকে সে। পরিবারের সদস্যদেরও একটি ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে ছবিতে। তাদেরকে জেরা করা হয়।
মৃতের ঘরে ও বিবিধ জায়গায় নারীদের নগ্ন শরীরের ছবি দেখা যায়। সেখান থেকে জোড়ালো হতে থাকে পুলিশের সন্দেহ।
নওয়াজউদ্দিনকে এর আগেও পুলিশের চরিত্রে দেখা গেছে। কিন্তু, চ্যালেঞ্জিং এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় তাকে দেখা যায়নি। আলো আঁধারি দৃশ্যে রহস্যময় গল্প আপনি যদি এখনও দেখে না থাকেন তবে সময় করে দেখে নিতে পারেন। মন্দ লাগবে না আশা করি। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস