গত ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের এ ওয়ান পোলার কারখানার দেড় কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিলের কথা জানায় নেদারল্যান্ডের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ। এছাড়া, এসকোয়্যার নিট কম্পোজিটের ২২ লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করেছে দুটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
বাতিল ও স্থগিতাদেশের মধ্যে পড়েছে অ্যাপেক্স হোল্ডিংসের ৪০ লাখ পিস পোশাক, বিটপি গ্রুপের ৪ লাখ ৬৬ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশ, আমান গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইনের ১ লাখ ১৩ হাজার ডলার মূল্যের ৩৯ হাজার পিস পোশাক, আমান নিটিংয়ের ১ লাখ ৯৭ হাজার ডলারের ৪৪ হাজার ৭২৬ পিস পোশাক, স্কাইলাইন গার্মেন্টসের ৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশ ও রুমানা ফ্যাশনের ৯০ হাজার পিস পোশাক।
জেলায় ইতোমধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন রপ্তানি আদেশ না দেয়ার কথা জানাচ্ছে বিদেশি ক্রেতারা। এ তালিকায় সিঅ্যান্ডএ, জারা, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেবি শপ, ব্ল্যাকবেরি ও প্রাইমার্কের মতো বড় বড় ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানার মালিকরা মহা আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। তারা সরকারকে তাদের পাশে চাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে এ খাত মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। তারা বলছেন, আমেরিকা বা ইতালির মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কারখানা বন্ধ করতে হবে। আর এমনটি হলে তৈরি পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রমিক ও মালিকরা করোনা আতঙ্কের মধ্যেও কারখানাগুলো চালু রেখেছেন।
বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমার পোল্যান্ডের এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দুই দফার রপ্তানি আদেশ বাতিল করেছে। এর মধ্যে একটি আদেশ ছিল ২ লাখ ২০ হাজার ডলারের। আরেকটি আদেশ ছিল ২ লাখ ডলারের।’
তিনি জানান, করোনার কারণে এখন প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায় রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিতের মেইল পাচ্ছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। ‘এ অবস্থায় সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আমরা মারা পড়ব।’