চীনে এই পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করেছে।
হিলি চেকপোস্টে বিশেষ কোনো সতর্কতা না থাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন চেকপোস্ট দিয়ে চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
ভারত থেকে আসা বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, চীনে রহস্যজনক একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এই কথা বিভিন্নভাবে শুনেছেন তারা। এই চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে যাত্রীদের মাধ্যমে ভাইরাসটি দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুজ্জামান জানান, প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে তিন শতাধিক যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করেন। এদের অনেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান। এসব দেশ আবার চীনের পার্শ্ববর্তী।
‘শুনেছি চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে হিলি চেকপোস্ট এলাকায় এখনও পর্যন্ত মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়নি,’ বলেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানান, হিলি চেকপোস্টের গুরুত্ব ভেবে এই আশঙ্কার কথা ইতোমধ্যে দিনাজপুর সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি আবার ঢাকায় জানিয়েছেন। এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে হিলি চেকপোস্টে মেডিকেল টিম গঠন করে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হবে।